ভুল কেবলই ভুল - জেনে নিন,
১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!
২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!
****মুখে গন্ধ, সর্দি-কাশি, পেট খারাপ কিংবা ব্রণ? বাড়িতে থাকা জিনিসেই সমাধান
মুখে দুর্গন্ধ, সর্দি-কাশি, কোলেস্টেরল, পেট খারাপের মতো সমস্যা লেগেই থাকে আমাদের জীবনে। জানেন কি ছোটখাট এই সব সমস্যা ডাক্তারের সাহায্য ছাড়াই সমাধান করা যায় বাড়িতেই থাকা জিনিসের সাহায্যে? মধু, দারচিনি, আদা, গ্রিন টি এমনই কিছু জিনিস যা সমাধান করতে পারে অনেক সমস্যার। জেনে নিন কী ভাবে।
কোলেস্টেরল : গ্রিন টি-র সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ মধু ও ১ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতি দিন খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা দু’ঘণ্টায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : প্রতি দিন সকালে এক কাপ গ্রিন টি-তে ১ চা চামচ মধু ও এক চিমটি দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ব্রণ : মধু ও দারচিনি গুঁড়ো এক সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর ওপর লাগান। সারা রাত রাখুন। সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
ডায়াবেটিস : ১ চামচ মেথি বা মৌরি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে খালি পেটে প্রথমেই এই পানি খান।
সর্দি কাশি : গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ মধু ও সিকি চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ৩ দিন খেলে কমে যাবে সর্দি কাশি।
অ্যাসিডিটি : এক কাপ ফুটন্ত পানিতে ১ চামচ মৌরি মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে পানি ছেঁকে মধু মিশিয়ে খান।
গলা ব্যথা : ১ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো, আধ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১ চামচ আদা গুঁড়ো, ১ চামচ মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খান।
নিম্ন রক্তচাপ : রাতে ৮টা আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে গরম দুধের সঙ্গে খান।
ত্বকের অ্যালার্জি : ত্বকে মধু ও দারচিনি গুঁড়ো সম পরিমাণে মিশিয়ে লাগান।
মুখে দুর্গন্ধ : গরম পানিতে মধু ও দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে গার্গল করুন।
ব্লাডার ইনফেকশন : এক কাপ গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়ো ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ব্লাডারের জীবাণু মরে যাবে।
পেট খারাপ : আদা পানির মধ্যে ১ চামচ মধু ও সিকি চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এতে পেট খারাপ কমবে তাড়াতাড়ি।
কানে কম শোনা : প্রতি দিন দু’বেলা মধুর সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
আর্থারাইটিস : বাতের সমস্যায় ভুগলে প্রতি দিন ২ চা চামচ মধু ও আধ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান।
ইনফ্লুয়েঞ্জা : হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবু দিয়ে খান।
পুড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু চিকিৎসা করতে হবে। কেননা পুড়ে যাওয়া স্থানে প্রচুর জ্বালা পুড়া করে যা সহ্য করা অনেক কঠিন। তাই তাৎক্ষনিক ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তার অথবা নিকস্থ হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। আসুন জেনে নেই কিভাবে পুড়ে যাওয়া ক্ষতের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা করতে হবে।
মধু:
মধু এন্টিসেপটিক হিসেবে দারুন কাজ করে। পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মধু লাগাতে পারলে জ্বালা পুড়া অনেক কমে যাবে আর পুড়া দাগও হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
টুথপেস্ট:
টুথপেস্ট শুধু দাত মাজার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় না। পুড়ে যাওয়া স্থানে টুথপেস্ট লাগালে উপকার পাবেন ১০০%।
কলার খোসা:
কলার খোসা জ্বালা পুড়া কমাতে খুবই উপকারি। পুড়ে যাওয়া স্থানে কসা খোস এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
এলোভেরা:
পুড়ে যাওয়া স্থানে এলোভেরার জল লাগান জ্বালা পুড়া কমে যাবে এবং ঠান্ডা অনুভব হবে। এলোভেরার রস ক্ষত শুকাতে অসাধারণ কাজ করে।
দই:
দই বা কাচা দুধ পুড়া ঘা এর জ্বালা পুড়া দ্রুত কমিয়ে দেয়। পুড়ে যাওয়া জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট দই দিয়ে রাখুন এত জ্বালা পুড়া তো কমবেই ফোসকা না পড়াতে সাহায্য করবে।
অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েল ও পোড়া ঘা এর জন্য বেশ উপকারী। পোড়া ঘা শকানোর সময় চামড়া টানটান করে এসময় অলিভ অয়েল দিলে চামড়া স্মুথ থাকে। কষ্ট কম হয়। চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন।
উপরের চিকিৎসা গুলো করলে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত, জ্বালা পুড়া , দাগ থেকে মুক্তি পাবেন। তবে কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বণ করবেন যাতে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটে।
১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!
২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!
৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।
৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!
৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।
৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।
৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।
৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।
৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।
১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।
১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।
১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।
১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।
১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।
__________________________________________
এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।
৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!
৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।
৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।
৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।
৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।
৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।
১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।
১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।
১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।
১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।
১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।
১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।
__________________________________________
এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
****মুখে গন্ধ, সর্দি-কাশি, পেট খারাপ কিংবা ব্রণ? বাড়িতে থাকা জিনিসেই সমাধান
মুখে দুর্গন্ধ, সর্দি-কাশি, কোলেস্টেরল, পেট খারাপের মতো সমস্যা লেগেই থাকে আমাদের জীবনে। জানেন কি ছোটখাট এই সব সমস্যা ডাক্তারের সাহায্য ছাড়াই সমাধান করা যায় বাড়িতেই থাকা জিনিসের সাহায্যে? মধু, দারচিনি, আদা, গ্রিন টি এমনই কিছু জিনিস যা সমাধান করতে পারে অনেক সমস্যার। জেনে নিন কী ভাবে।
কোলেস্টেরল : গ্রিন টি-র সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ মধু ও ১ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতি দিন খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা দু’ঘণ্টায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : প্রতি দিন সকালে এক কাপ গ্রিন টি-তে ১ চা চামচ মধু ও এক চিমটি দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ব্রণ : মধু ও দারচিনি গুঁড়ো এক সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর ওপর লাগান। সারা রাত রাখুন। সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
ডায়াবেটিস : ১ চামচ মেথি বা মৌরি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে খালি পেটে প্রথমেই এই পানি খান।
সর্দি কাশি : গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ মধু ও সিকি চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ৩ দিন খেলে কমে যাবে সর্দি কাশি।
অ্যাসিডিটি : এক কাপ ফুটন্ত পানিতে ১ চামচ মৌরি মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে পানি ছেঁকে মধু মিশিয়ে খান।
গলা ব্যথা : ১ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো, আধ চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১ চামচ আদা গুঁড়ো, ১ চামচ মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খান।
নিম্ন রক্তচাপ : রাতে ৮টা আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বেটে গরম দুধের সঙ্গে খান।
ত্বকের অ্যালার্জি : ত্বকে মধু ও দারচিনি গুঁড়ো সম পরিমাণে মিশিয়ে লাগান।
মুখে দুর্গন্ধ : গরম পানিতে মধু ও দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে গার্গল করুন।
ব্লাডার ইনফেকশন : এক কাপ গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়ো ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ব্লাডারের জীবাণু মরে যাবে।
পেট খারাপ : আদা পানির মধ্যে ১ চামচ মধু ও সিকি চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এতে পেট খারাপ কমবে তাড়াতাড়ি।
কানে কম শোনা : প্রতি দিন দু’বেলা মধুর সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
আর্থারাইটিস : বাতের সমস্যায় ভুগলে প্রতি দিন ২ চা চামচ মধু ও আধ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খান।
ইনফ্লুয়েঞ্জা : হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবু দিয়ে খান।
পুড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু চিকিৎসা করতে হবে। কেননা পুড়ে যাওয়া স্থানে প্রচুর জ্বালা পুড়া করে যা সহ্য করা অনেক কঠিন। তাই তাৎক্ষনিক ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাক্তার অথবা নিকস্থ হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। আসুন জেনে নেই কিভাবে পুড়ে যাওয়া ক্ষতের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা করতে হবে।
মধু:
মধু এন্টিসেপটিক হিসেবে দারুন কাজ করে। পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মধু লাগাতে পারলে জ্বালা পুড়া অনেক কমে যাবে আর পুড়া দাগও হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
টুথপেস্ট:
টুথপেস্ট শুধু দাত মাজার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় না। পুড়ে যাওয়া স্থানে টুথপেস্ট লাগালে উপকার পাবেন ১০০%।
কলার খোসা:
কলার খোসা জ্বালা পুড়া কমাতে খুবই উপকারি। পুড়ে যাওয়া স্থানে কসা খোস এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
এলোভেরা:
পুড়ে যাওয়া স্থানে এলোভেরার জল লাগান জ্বালা পুড়া কমে যাবে এবং ঠান্ডা অনুভব হবে। এলোভেরার রস ক্ষত শুকাতে অসাধারণ কাজ করে।
দই:
দই বা কাচা দুধ পুড়া ঘা এর জ্বালা পুড়া দ্রুত কমিয়ে দেয়। পুড়ে যাওয়া জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট দই দিয়ে রাখুন এত জ্বালা পুড়া তো কমবেই ফোসকা না পড়াতে সাহায্য করবে।
অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েল ও পোড়া ঘা এর জন্য বেশ উপকারী। পোড়া ঘা শকানোর সময় চামড়া টানটান করে এসময় অলিভ অয়েল দিলে চামড়া স্মুথ থাকে। কষ্ট কম হয়। চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন।
উপরের চিকিৎসা গুলো করলে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত, জ্বালা পুড়া , দাগ থেকে মুক্তি পাবেন। তবে কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বণ করবেন যাতে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটে।
0 comments:
Post a Comment